যশোরের বাঘারপাড়ার একটি ডাকাতি মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম চার্জশিট দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, নড়াইল সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন, যশোরের শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, মো. কামরুজ্জামান, রুহুল কুদ্দুস ওরফে আব্দুল কুদ্দুস, ফজলু গোলদার ওরফে ফজলুর রহমান, মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের শ্রীরাম প্রসাদ দত্ত ওরফে রাম বাবু, মাগুরার শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামের সোহেল রানা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা শিবতলা এলাকার ওবাইদুল্লাহ, শ্যামনগর উপজেলার বরুলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম, তালা উপজেলার সুজনসাহা এলাকার সন্তু ঘোষ ওরফে পিন্টু, শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামের হুমায়ুন কবির ওরফে কবির হোসেন, চৌগাছা উপজেলার জামালতা গ্রামের জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলার শমসপুর গ্রামের সালাউদ্দিন মনা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাটিয়া দক্ষিণপাড়ার মিজানুর রহমান ওরফে বাবু।
মামলার বিবরণে ও ডিবি পুলিশ সূত্র মতে, গত বছরের ১২ আগস্ট ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দাহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন সঙ্গী আশরাফুজ্জামানকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে ডাকাতদেন কবলে পড়েন। ১টি প্রাইভেটকার ও ১টি মাইক্রোবাসে করে আসা ডাকাতরা গতিরোধ করে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে নিয়ে যায়।
পরে ডাকাতরা তাদের কাছ থেকে টাকা লুট করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুকদেবনগর এলাকায় এসে গাড়ি থেকে ইকবাল হোসেন ও আশরাফুজ্জানকে ফেলে দেয়। অবশ্য পরে পুলিশ স্থানীয়দের সাহায্যে একটি মাইক্রোবাসসহ ৪ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে একজন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন বাঘারপাড়া থানায় মামলা করলে তদন্তকালে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতরা ডিবি পুলিশ ও র্যাব পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে বেড়ায়। মূলত ডাকাতরা পাচারকারীদের কাছ থেকে স্বর্ণের বার লুট করে নিয়ে থাকে। ইকবাল হোসেনদের গাড়িতে স্বর্ণ রয়েছে এমন তথ্য পেয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন। কিন্তু ওই গাড়িতে লুব্রিকেন্ট ছিলো।
এক পর্যায়ে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী যশোরের চৌগাছা উপজেলার জামালতা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে চাকরিচ্যুত পুলিশের এএসআই জসিম উদ্দিন। পরে তার চৌগাছা বাজারের বাড়িতে অভিযান চালালেও তাকে আটকে ব্যর্থ হয় ডিবি পুলিশ। তবে বিভিন্ন সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সাথে জড়িত আরো ৭ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া তদন্তে ডাকাতি, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী হিসেবে আরো ৮ জনের নাম প্রকাশ পায়। এরপর মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিত ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।